মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত (আশিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জোরপূর্বক ভাবে জায়গা ক্রয় করে দখলে আসতে চাই একভূমিদস্যু পরিবার, দোকান ঘর নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি ও প্রাণ নাশের হুমকিদেয় এক প্রবাসী ও তার পরিবারকে। এ বিষয়ে চারজনকে অভিযুক্ত আসামী করে তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ঐ প্রবাসী।
শনিবার সকাল এগারোটার সময় উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন তন্তর গ্রামের মৃত ধন মিয়ার ছেলে মোঃ সেলিম (৪৫) ও তার পরিবারের লোকজন মিলে ওই প্রবাসীর নিজ জায়গায় একটি দোকান ঘর নির্মাণকাজ করাকালীন কাজে বাধা সৃষ্টি করে ও হুমকিদেয় বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় তন্তুর গ্রামের প্রবাসী খলিলুর রহমান সোহেল (৪১) বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগকারী খলিলুর রহমান সোহেল বলেন, আমি আমার বাবার একমাত্র ছেলে, আমার বাড়ির পাশে রাস্তার সাথে আমার বাবার রেখে যাওয়া এই জাইগার বর্তমান মালিকাধীন আমি বিগত অনেকদিন যাবত আগেই এই জায়গাটিতে বাঁশ ঝাড় ও একটি বাড়ুই গাছ ছিল।
বিগত তিন মাস পূর্বে আমার দখলীয় ভূমিতে গাছগাছালি পরিষ্কার করিয়া তথায় আমি দোকান ঘর নির্মাণ কাজ আরম্ভ করি। এই ভূমিদস্যু লাঠিয়াল বাহিনী পরিবারের লোকজন আমার দোকান ঘরের নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করিতে থাকে, ও আমার এ জায়গাটির উপর লোলুপ দৃষ্টি দেয়।
এবং তাহারা সরাসরি ও লোকজনের মধ্যেমে আমার দখলীয় ০. ৯১ শতক জায়গাটি তাদের নিকট বিক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিয়া আমি দোকানঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখি, গঠনার তারিখে আমি আবারও পুনরায় দোকান ঘরটির নির্মাণ কাজটি আরম্ভ করিতে গেলে, সেলিম ও তার মা আবেদা খাতুন(৬০) এবং এমরান খান বাবু(৩০) স্বপন মিয়া(৪০) সহ আরও কয়েকজন বাধা সৃষ্টি করিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মারতে আসিলে আমি দৌড়ে আমার নিজ ঘরে চলে এসে প্রাণ রক্ষা করি।
তৎক্ষণাৎ মোবাইল ফোনে এবং পায়ে খেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমি নাছির উদ্দীন, মজিদ মিয়া, মানিক মিয়া, শফিকুল ইসলাম মিয়াসহ আরও কিছু আমার গ্রামের স্থানীয় মুরুব্বী ও সাহেব সরদার গনকে বিষয়টি অবগত করিলে, সেলিমের পরিবারের বিহীত আচরণে মুরুব্বিরা তার কোন সমাধান দিতে পারেননি।
খলিলুর রহমান সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, সেলিম একজন নেশাখোরও খারাপ প্রকৃতির লোক। সে ও তার পরিবারের লোকজন আমার স্বামীকে চাপসৃষ্টি করে হুমকি ধমকি দিচ্ছে, যদি তাদের কাছে এ জায়গাটি বিক্রি ও দলিল করে না দেয় তাহলে আমার স্বামীকে হাত পা বেঙে বিদেশে যাওয়া ক্যানসেল করে দেবে।
সেলিমের মা আবেদা খাতুন আমার বাড়ির সামনে এসে আমাকে হুমকিও গালমন্দ করে বলে আমি কিভাবে এ বাড়িতে বসবাস করি তা তিনি দেখে নিবে। এবং আদালতে আমার স্বামীর নামে সেলিম একটি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলাও দিয়েছে, আমার স্বামী জেন বিদেশে যেতে না পারে, আমি ও আমার স্বামী এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
অভিযুক্ত সেলিম ও তার পরিবারের লোকজনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তাহারা বলেন, মাপ ছুপ করে আমরা যাইগা যতটুকু পেয়েছি আমাদের দখলে রেখেছি, সে আমাদের অংশের
জাইগা তার দখলে নিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা বাদা দিয়েছিলাম, সে উল্টো আমাদেরকে তার গুন্ডা বাহিনীর ভয় দেখিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোন মারপিট হয়নি বা তাদেরকে কোন হুমকি দমকি আমরা দেয়নি বলে ঘটনাটি তাহারা অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই, দিদার বলেন আখাউড়া থানায় অভিযোগটি করলে তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।